সুরা ফিলে যে উপদেশ দিয়েছেন আল্লাহ
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৩
সুরা ফীল। পবিত্র কোরআনের ১০৫তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা পাঁচ। এ সুরায়— ইয়েমেনের বাদশাহ আবরাহার বিশাল হস্তি-বাহিনী ধ্বংসের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। সুরায় উল্লেখিত ফিল অর্থ হাতী। এ সুরায় হস্তীবাহিনীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে।
ইসলামপূর্ব জাহেলী যুগেও ভক্তি-শ্রদ্ধার এবং গর্ব-মর্যাদার প্রধান কেন্দ্র মনে করা হতো কাবা ঘরকে। কিন্তু তৎকালীন খ্রিস্টানরা কাবার মর্যাদা ও স্বীকৃত মর্যাদা মেনে নিতে পারেনি।
বিশেষত আরবের আশেপাশের ক্ষমতাশালী রোমান খ্রিস্টানদের কাছে পবিত্র কাবা চক্ষুশূল হয়ে উঠে। এ সময় আফ্রিকা সাম্রাজ্যের নাজ্জাশি বাদশাহর অধীনে ইয়েমেনের গভর্নর নিযুক্ত করা হয়েছিলো আবরাহা বিন সবাহকে।
কাবার জনপ্রিয়তা আবরাহা সহ্য করতে পারলো না। হাজীরা মক্কায় যেসব নজরানা ও উপঢৌকন নিয়ে আসতো সে তা গ্রাস করার লোভ সামলাতে না পারলো না। সে হাজীদের মক্কার কাবা থেকে ফেরাতে নিজের রাজ্যে কাবার মতোই দেখতে একটি ঘর নির্মাণে মনস্থির করলো।
চিন্তাভাবনা করে সে ইয়ামেনের ‘সানা’ নামক জায়গায় মর্মর পাথর দিয়ে বিভিন্ন রকমের কারুকার্য খচিত একটি সুরম্য প্রাসাদ নির্মাণ করলো। এবং ঘোষণা দিলো আগামীতে যেন মানুষেরা কাবার পরিবর্তে এই নব নির্মিত গির্জায় এসে ইবাদত, উপাসনা, হজ ও তাওয়াফ করে।
কিন্তু প্রকৃত কাবার প্রেমিকরা তার এমন ঘোষণা ও কাবার এই অমর্যাদা-অবমাননা কিছুতেই মেনে নিতে পারল না। তার এই ঘোষণা সর্বত্র দারুণ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করল। কুরাইশরা রাগে ফেটে পড়ল। কথিত আছে, তাদের কেউ একজন এসে ওই জাঁকজমকপূর্ণ গির্জায় গোপনে ঢুকে পায়খানা করে যায়। অন্য বর্ণনায় এসেছে, কুরাইশদের একদল যুবক ওই গির্জায় ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়, যাতে গির্জা পুড়ে ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
আবরাহা যে উদ্দেশ্যে গির্জা নির্মাণ করেছিল, সেই উদ্দেশ্য চরমভাবে ব্যর্থ হয়। আরবদেরকে কোনভাবেই যখন আকৃষ্ট করা গেল না, সে ক্রুব্ধ-বিক্ষুব্ধ হয়ে কাবা ধ্বংসের পরিকল্পনা করে। প্রথমে সে আবিসিনিয়ার রাজার কাছ থেকে হাতি সংগ্রহ করে। অতঃপর তার সৈন্য বাহিনীকে পবিত্র কাবা আক্রমণের নির্দেশ দেয়।
বর্ণিত আছে, ভোরবেলা আবরাহা বাহিনী কাবা ধ্বংসের জন্য অগ্রসর হয়। কোনো বর্ণনায় ২০ হাজার এবং কোনো বর্ণনায় ৬০ হাজার সেনার কথা এসেছে। ওই বাহিনীর সঙ্গে নাজ্জাশির পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশাল হস্তিবাহিনী পাঠানো হয়, যার নেতৃত্বে ছিল মাহমুদ নামের একটি হাতি।
হস্তিবাহিনীর সংখ্যা কেউ বলেছে একটি, কেউ বলেছে দুটি, আটটি বা ১২টি বা তারও বেশি। তবে মাহমুদ ছিল এদের নেতা। বাকিরা মাহমুদের অনুগামী। এদের নেওয়া হয়েছিল এ জন্য যে লোহার শিকলের এক প্রান্ত কাবার দেয়ালে বেঁধে অন্য প্রান্ত হাতির ঘাড়ে বাঁধা হবে। এরপর হাতিকে হাঁকিয়ে দেওয়া হবে, যাতে পুরো কাবাগৃহ একসঙ্গে উপড়ে পড়ে।
আবরাহা যখন মক্কা অভিমুখে রওনা হওয়ার উদ্যোগ নিলো, হাতিকে মক্কার দিকে হাঁকাতে চেষ্টা করলো, তখন হাতি বসে পড়লো। তারপর শতচেষ্টা করেও হাতিকে মক্কামুখী করা যায়নি। অথচ ইয়েমেনমুখী করা হলেই হাতি দৌড় দেয়, মক্কামুখী করলেই বসে পড়ে।
অন্যান্য হাতিও তাদের প্রধান সেনাপতি মাহমুদের অনুসরণ করে। হস্তি চালকরা প্রাণপণ চেষ্টা করেও ওদেরকে কাবামুখী করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়।
এ সময় হঠাৎ মুহূর্তের মধ্যে সমুদ্রের দিক হতে সবুজ বর্ণের ঘাড় বিশিষ্ট একদল কৃষ্ণ বর্ণের পাখির আবির্ভাব ঘটল। ওরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে উড়ে আবরাহার সৈন্যদের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরকণা বর্ষণ করতে লাগল।
পাখিগুলোর মুখে একটি এবং দুই পায়ে দুটি কঙ্কর ছিল, যা ডাল ও গমের মতো। এই কঙ্কর যার মাথায় পড়েছে, সে-ই ধ্বংস হয়েছে। কিছু আঘাতপ্রাপ্তকে মরতে দেখে বাকি সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে শুরু করে।
ইবনু ইসহাক বলেন, আবরাহার বাহিনী মক্কা থেকে পালিয়ে ইয়েমেন পর্যন্ত মরতে মরতে যায়। আবরাহা সানা শহরে পৌঁছে লোকদের কাছে আল্লাহর আজাবের ঘটনা বলার পর মৃত্যুবরণ করে। এ সময় তাঁর বুক ফেটে কলিজা বেরিয়ে যায়। (ইবনে কাসির ও তাফসিরে মুনির)
আবরাহার এই হামলার সময় মক্কার অধিবাসীরা প্রাণভয়ে পাহাড়ে-প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়ল এবং পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপন করল। সেনাদলের ওপর আল্লাহর আজাব অবতীর্ণ হলে তারা নিশ্চিন্তে নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে যায়। (সিরাতে ইবনে হিশাম, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৩, ৫৬)
বেশির ভাগ সিরাত রচয়িতার অভিমত অনুযায়ী, এই ঘটনা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের ৫০ অথবা ৫৫ দিন আগে ঘটেছিল। সে সময় ছিল মহররম মাস।
৫৭১ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে অথবা মার্চের শুরুতে এই ঘটনা ঘটেছিল। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পাক তাঁর নবী এবং পবিত্র ঘর কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এর ভূমিকাস্বরূপ এ ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
- প্রাণনাশের হুমকি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ
- বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ২৪ তরুণ-তরুণী
- প্রাথমিকের জন্য ৫ কোটি ৩২ লাখ বই কেনার অনুমোদন
- আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি আনাস
- মৌলিক বিষয়ে ঐক্যের বিকল্প কি কিছু আছে?
- চুল অনুযায়ী হেয়ার প্যাক
- ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
- ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছাড়ল কসোভো, রোমানিয়াকে জয়ী ঘোষণা
- বঙ্গবন্ধু নামের প্রতিষ্ঠানের অনুদানে কর রেয়াত বাতিলের চিন্তা
- এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
- ২০২৫ সালে স্কুল ছুটি থাকবে ৭৬ দিন
- নতুন সিইসি সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন
- গোয়াইনঘাটে টিসিবি’র চাউল বিক্রি প্রসঙ্গে প্রকাশিত সংবাদের ভিন্নম
- প্রসেনজিতের ছায়াসঙ্গী রাম সিং, মাসে কত লাখ টাকা বেতন জানেন
- শাহজাহান ওমরের গাড়ি ভাঙচুর, মামলা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার
- ইউরোপের যে হাটে মেলে বিয়ের কনে
- আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা
- সেনাবাহিনী যেতেই পালালেন রিকশাচালকরা, ধাওয়া দিলেন পথচারীরাও
- বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাথে আর্কাইভস গ্রন্থাগার মতবিনিময়
- অপরাধ দমন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- রাঙ্গাবালীতে লাস্ট মাইল এডুকেশন প্রকল্পের সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত
- পাংশা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
- শ্রীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
- ইউক্রেন যুদ্ধ কি ২০২৫ সালে শেষ হচ্ছে?
- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব আকমল হোসেনকে বদলি, নতুন সচিব
- ৬ বছর পর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
- সিটি কলেজ-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সায়েন্সল্যাব
- ৭ কলেজের অধিভুক্তি অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত, আলাদা করার চেষ্টা চলছে
- গুনাহের সাক্ষী!
- শ্রমিক আন্দোলন কি সবসময় মুক্তির পথ দেখায়?
- গাজীপুরে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও রশি টান খেলা অনুষ্ঠিত
- অবৈধ দখলদারদের দখলে সরকারি কোটি টাকার জমি
- লাকসাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মিলনমেলা
- বেনাপোল টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন - নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত
- পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য পুনর্স্থাপনে চিন্তিত ভারত
- আহত সাংবাদিক শান্তকে দেখতে হসপিটালে কপ ২৯ প্রেসিডেন্ট
- কমলগঞ্জ ব্যক্তির উদ্যোগে মাজার ভেঙ্গে দিল এলাকাবাসী
- আন্দোলন ঠেকাতে ১৭ দিন ধরে বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজ
- গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলা ও পৌর কৃষকদলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত
- শেখ হাসিনাকে ধরতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশে কী করবে ভারত?
- আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ বেনাপোলের আবদুল্লাহ মারা গেছেন
- পাংশায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা
- ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- লকুরআন বিরোধী সংবিধানের অধীনে বন্দি হয়ে জাতির মানুষ দুর্ভোগে
- বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য রবির ভিডিও চ্যাটের সুবিধা
- চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি করার ঘোষণা ডা. শাহাদাতের
- যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের চায়ের আমন্ত্রণে বিএনপি
- ধানমন্ডিতে চিকিৎসকদম্পতির বাড়িতে ডাকাতি, ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যু
- রাঙ্গাবালীতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন পরিস্কার-পরিছন্ন করেন বিডি ক্লিন
- স্বামীকে বিয়ের জন্যে চাপ দিতেন শিরিন শিলা
- ইসলামে যে ১৪ নারীর সঙ্গে বিবাহ হারাম!
- জেনে নিন কোরআনে চুমু দেয়া কি জায়েজ?
- আরবি মাসের নাম এবং তার অর্থ
- মদের বোতলে রাখা পানি পানের বিধান কী?
- মোনাজাতে কান্না করলে কি গুনাহ হবে?
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে করণীয় আমল
- নারীর গোপন ভিডিও বা ছবি নিয়ে ইসলাম যা বলে
- তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ
- যেভাবে কবর জিয়ারত করবেন
- দ্বন্দ্বের অবসান, ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা
- ঝুলন্ত মসজিদ হবে কাবার পাশে
- আজ খুলছে রাসূলুল্লাহ (সা.) রওজা মোবারক
- শরীরে ট্যাটু আঁকা হারাম
- মদিনা শরিফের ইমাম শায়খ আব্দুল কাদিরের ইন্তেকাল
- মসজিদে নববীর আদর্শ ও আমাদের মসজিদ